LightBlog

শীতে কিভাবে নিবেন শিশুর যত্ন শিশুদের ত্বক বড়দের তুলনায় খুবই নাজুক ও স্পর্শকাতর হয়ে থাকে।  আর এই শীতের সময়ে শিশুদের স্পর্শকাতর ত্বক হয়...

শীতে কিভাবে নিবেন শিশুর যত্ন।

শীতে কিভাবে নিবেন শিশুর যত্ন
শিশুদের ত্বক বড়দের তুলনায় খুবই নাজুক ও স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। আর এই শীতের সময়ে শিশুদের স্পর্শকাতর ত্বক হয়ে উঠে শুষ্ক ও রুক্ষ। এছাড়াও এই সময়ে শিশুদের ঠান্ডা, জ্বর, সর্দি, কাশি লেগেই থাকে।তাই শীতকালে শিশুদের সুস্থ্য রাখার জন্য চাই বিশেষ কিছু যত্ন.আপনাদের জন্য আজকে নিয়ে আসছি শীতকালে আপনার শিশুকে সুস্থ্য রাখতে কিছু গুরুত্বপূর্ন টিপস।




1। গোসল- নিয়মিত অনেক বাবা-ই মনে করে শীতে শিশুকে প্রতিদিন গোসল মা করালে ঠান্ডা লেগে যাবে। ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করালে যেমন ঠান্ডা লেগে যাবার ভয় থাকে তেমনি গোসল না করালেও শিশুর ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে যাবে । তাই শীতে শিশুকে গোসল করাতে হবে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে । শীতে শিশুদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতেই গোসল অপরিহার্য।

২। ব্যবহার- সাবান আপানর শিশুকে সাবান ব্যবহারের ক্ষেত্র্রে সতর্ক থাকুন.শরীর পরিস্কারে অবশ্যই বেবী সোপ ব্যবহার করুন। কিছুতেই শিশুদের ক্ষেত্রে বড়দের সাবান ব্যবহার করবেন না। বড়দের সাবান ব্যবহারে আপনার শিশুর ত্বক শুষ্ক হয়ে

3। করা- শ্যাম্পু আপনার শিশুর চুলে একদিন পর পর শ্যাম্পু লাগিয়ে দিন। শ্যাম্পু লাগানোর সময় মাথার ত্বক আপনার আঙ্গুলের ডগা-ময়লা জমে চুলে খুশকি জমতে না পারে।

4। ধোয়া- হাত আমাদের মধ্যে অনেকেই আছি যারা শীতের সময় বাচ্চাদের পানি ব্যবহারের পরিমান কমিয়ে দেই কারন বাচ্চার ঠান্ডা লেগে যেতে পারে এই ভয়ে। কিন্তু এই সময়ে সংক্রামন রোগের মূল পথ হচ্ছে। তাই আপনার বাচ্চাকে হাত ধোয়া শেখান প্রতিটি খাবার

5। শীতকালীন পোষাক ধোয়া- নিয়মিতভাবে আমরা অনেকেই মনে করি শীতকালে কম ঘাম হয় তাই এটি শীঘ্রই ধুয়ে দিতে হবে না। কিন্তু উলের পোষাকে ধুলি-কনা আকৃষ্ট করার প্রবনতা বেশি। যা থেকে বাচ্চার অ্যালার্জি ও হাপাঁনি হতে পারে। তাই আপনার বাচ্চার শীতের পোষাক নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন

6। ব্যবহার- সানস্ক্রীন শীতকালে আপনার সন্তান বাহিরে বের হলেই উদারভাবে সানস্ক্রীন ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

7। ব্যবহারে সাবধানতা- ডায়াপার নবজাতককে ডায়াপার পরালে অবশ্যই নিয়মিত তা বদলানোর কাজটি মনোযোগ দিয়ে করতে হবে। ভেজা ডায়াপার থেকে শিশুদের দ্রুত ঠান্ডা লেগে যেতে

8। নাক পরিস্কার- নিযমিত শীতের সময়ে আপনার বাচ্চার ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে, এক্ষেত্রে একটু উষ্ণ জলে কটন বাড ভিজিয়ে নাকের। এছাড়াও নরসল ড্রপ দিনে দুইবার দেয়া যেতে পারে, এতে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

9। পরামর্শ্ ছাড়া ঔষধ ব্যবহার না করা- ডাক্তারের অনেক মায়েরা প্রায়ই জিজ্ঞেস করে গতবার জ্বরের সময় ডাক্তার এই ঔষধটি দিয়েছিল, এখন কি আমি এটা ব্যবহার করতে পারি? উত্তর হবে এক কথায় না, কারন আপনার সন্তানের সংক্রামন এজেন্ডা আলাদা হতে পারে। তাই যে কোন ঔষধ ব্যবহার করার আগে দয়া


10। ঘুম- শীতকালে আপনার সন্তানকে সুস্থ্য রাখতে বিশেষভাবে অবদান রাখে একটি আরামদায়ক পরিপূর্ন্ ঘুম। তাই আপনার সন্তানের ঘুমের দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে। আপনার সন্তানের প্রতিদিন কতটুকু ঘুম প্রয়োজন তা যদি, একবার দেখে নিতে পারেন-

  • · 1 বছরের কম বয়সী শিশুর প্রতিদিন 1২-18 ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন       
  • · 1 থেকে 3 বছর বয়সের শিশুর প্রতিদিন 1২-14 ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন।      
  • · 3 থেকে 5 বছর বয়সের শিশুর প্রতিদিন 11-13 ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন।      
  • · 5 থেকে 10 বছর বয়সের শিশুর প্রতিদিন 10-11 ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন।      


আপনার সন্তানের সুস্থ্যতার জন্য এই টিপসগুলো  (স্বাস্থ্য টিপস)  মেনে চলুন। আমি মনে করি এই স্বাস্থ্যবিধি বা টিপসগুলো অনুসরন করা খুব একটা কঠিন নয় । একটু কষ্ট করে হলেও উপরোক্ত (স্বাস্থ্য টিপস)   টিপসগুলো মেনে চলুন এবং আপনার সন্তানকে সুস্থ্য রেখে তাদের সাথে শীতকালটা উপভোগ করুন । 10 গুরুত্বপূর্ণ টিপস শীতের সময় আপনার শিশুর স্বাস্থ্য রাখার)

0 Comments: